কেমন ঈদ কাটিয়েছেন হাসপাতাল গুলোতে সদ্য যোগ দেয়া করোনা যোদ্ধারা
করোনার ভয়াবহতা আচ করতে পেরেই আমাদের বিচক্ষণ ও প্রখর দূরদৃষ্টি সম্পন্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সারা দেশে করোনা মোকাবেলায় ২০০০ চিকিৎসক নিয়োগ দেন।
তারই ধারাবাহিকতায় করোনার রেড জোন খ্যাত নারায়ণগঞ্জ এ নিয়োগ পান ৩৯ তম বিসিএস এর ২৫ জন চিকিৎসক কর্মকর্তা ।
যারা বর্তমানে কর্মরত আছেন নারায়নগঞ্জের বিভিন্ন হাসপাতালে। ঈদের দিন সরেজমিনে হাসপাতাল ঘুরে আমরা কথা বলি চাকুরী জীবনের ১ম ঈদে হাসপাতালে ডিউটি করা নবীন এই সব চিকিৎসক কর্মকর্তা দের সাথে। জানতে চেস্টা করি তাদের অনুভূতি & ভালো লাগা আর মন খারাপের গল্প গুলো।
সরকারি চাকুরি প্রবেশের পর প্রথম ঈদ। অনেকের অনেক রকম স্বপ্ন থাকে, পরিবারের সাথে ঈদ করবেন, সবাইকে ঈদের নতুন ড্রেস কিনে দিবেন নিজের টাকায়, নতুন চাকরি নতুন অনুভূতি সব আনন্দ শেয়ার করবেন পরিবারের সাথে। কিন্তু এবার এমন টি হয় নি।
মার্তৃভূমি যখন কাপছে করোনায়, তখন ওনাদের ঘরে বসে থাকার যো নেই।
তাই পরিবার পরিজন ছেড়ে ঈদের দিন গুলোতেও হাসিমুখে ডিউটি করে যাচ্ছেন এই কভিড যোদ্ধারা।
কথা হচ্ছিল নারায়নগঞ্জের খানপুরে ৩০০ শয্যায় ঈদের ডিউটি করা ডা সুমাইয়া আক্তারের সহিত। সলিমুল্লাহ মেডিকেলের প্রাক্তন শিক্ষার্থী এই চিকিৎসক কর্মকর্তা বলেন, জীবনের প্রথম এই বার আব্বু আম্মু কে ছাড়া ঈদ করছি। একটু মন খারাপ তো থাকেই তাও রোগিদের সরাসরি সেবা করতে পারছি তাই এই ঈদ টাও অন্যান্য বারের তুলনায় স্পেশাল।
নারায়ণগঞ্জ জেনারেল( ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ঈদের দিন কর্মরত থাকা ডাঃ দীপাঞ্জন ধর বলেন, গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের একজন কর্মকর্তা হিসেবে ঈদের দিন রাত সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের ইমার্জেন্সি সেবা চালু রাখতে পেরেছি এবং মানুষ এর যথোপযুক্ত সেবা নিশ্চিত করতে পেরেছি এর থেকে আনন্দের আর কিছু নেই।
ঈদের দিনই ডিউটি রত আবস্থায় আমাদের কথা হয় বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরি বিভাগে কর্মরত ডা এম এম ফারুক হোসেন এর সাথে,
রোগি দেখতে দেখতেই বললেন, রোগি দেখা, রোগি সুস্থ হওয়া এটাই আমাদের সবচেয়ে বড় আনন্দ, যা ঈদের চেয়েও বেশি।এই দুর্যোগে নিজের এলাকার মানুষের সেবা করতে পারছেন সেটাকেই পরিবারের সাথে ঈদ কাটানোর চেয়েও অনেক বড় প্রাপ্তি মনে করেন বন্দরের এই চিকিৎসক কর্মকর্তা।
সারা দেশেই সদ্য যোগ দেয়া এই চিকিৎসক রা ছড়িয়ে আছেন। অনেকেই পরিবার ছেড়ে ঈদ করছেন হাসপাতালে। আমরা যখন সেমাই, বিরিয়ানি খাওয়ায় মত্ত হয়ত দেশের কোন না কোন প্রান্তে এই চিকিৎসকরা হাতে স্ট্যথো নিয়ে রোগি দেখায় ব্যস্ত।
তাই স্যলুট জানাই চিকিৎসক সহ আরো যেসব পেশার মানুষ গুলো ঈদে পরিবার ছেড়ে ডিঊটি করছেন আপনার আমার সুস্থতা আর নিরাপত্তার জন্য।
ভালো থাকুক তারা। রোগিদের সুস্থতা আর হাসিমাখা মুখের মাধ্যমে প্রতিটা দিন ই হোক তাদের জন্য ঈদের দিন।শুভ কামনায়।






Comments
Post a Comment